শফিক রেহমান, খুবই স্মার্ট এবং প্রাজ্ঞ সুধীজন। ওনার লেখার ধার কত তা অামাদের সাবেক স্বৈরাচারি প্রেসিডেন্ট এরশাদ সাহেব হারে হারে টের পেয়েছেন। ওনি অাবার চকোলেট বয়ও বটে। বাঙ্গালীর ভালবাসা দিবস ১ ফালগুন কে না ভালবেসে ওনার হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসার জাতি ইংরেজদের ভালবাসা দিবস প্রতিষ্ঠত করার জন্য সংগ্রাম করেছেন অনেক। তাই এদেশের বিরাট সংখ্যক যুব শ্রেণী ওনার ভীশন ভক্ত।
অামি নিজেও তার লেখার খুব ভক্ত ছিলাম কোন এক সময়। কিন্তু ১৯৯৬~৯৭ সালের দিকে তার লেখার ক্ষুরধার অার থাকল না। হয়ত বা কোন এক সুন্দরীর সৌন্দর্যের মোহাবেশে অাবদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। অাস্তে অাস্তে তিনি তার লেখায় সস্তা জন প্রিয়তা খুজতেছিলেন। বুঝতে পেরেছিলাম যে তিনি তার চকোলেট ভয় চরিত্রটাকে সামনে নিয়ে অাসতেছিলেন। তারপর থেকে ______ ।
তারপরও কেন জানি কষ্ট হচ্ছে বর্তমানে বের হয়ে অাসা তার গল্প বিশ্বাস করতে। তার ভিন্ন ধারার চরিত্রের সাথে বর্তমান গল্পের চরিত্রকে কোন ভাবেই মিলাতে পারছি না। কিন্তু অবিশ্বাসইবা করি কি করে! বের হয়ে অাসা গল্পের নথিগুলো তো অামাদের জগা খিচুরী মার্কা তদন্ত থেকে বের হয়ে অাসেনি, এগুলো এসেছে বিশ্বের নামকরা জাত তদন্ত কারী সংস্থা এফবিঅাই এর নথি থেকে।
সাপ খোলস বদলালে অারও সুন্দর দেখায়। অার মানুষ? মানুষ খোলস বদলালে তাকে চেনাই যায় না। অনেক বিভৎস দেখায়। অামার জীবনে এই ধরণের মানুষের সাক্ষাত ঘটেছে অনেক, সাহচর্য পেয়েছি অনেক। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে যাকে শ্রদ্ধা করা ও ভালবাসা শুরু করেছিলাম, বড় হয়ে যাকে মহান অাল্লাহ্ ও নবী রাসুল গণের পরের জায়গায়ই রেখেছিলাম, তার খোলস ভাঙ্গার পর যে, কি ভীষণ বীভৎস অার নোংড়া চেহারা দেখেছিলাম তা মনে হলে এখনো অামার শরীর শিউরে উঠে। নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না। সে অামার জীবনটাকে এমন ভাবে তছনছ করে দিয়েছে যে, এই জীবনে কেন! এই রকম অারও দুটো জীবন পেলেও গোছাতে পারব না। তাই খোলস পড়া মানুষ গুলোর খোলস ভেঙ্গে গেলে কি বীভৎস দেখায় তা ভাবা যায় না।
ইংল্যান্ডে শফিক রেহমান মুক্তি অান্দোলনের এক ক্যাম্পেইনের কিছু পোষ্টারে দেখলাম কিছু বন্দীদের সাথে ওনাকে রাখা হয়েছে। সেখানে অন্যান্য বন্দীরা অসহায়, নিঃপাপ চোখে অপলক তাকিয়ে অাছে, অার ওনি অগ্নিমূর্তি হয়ে অাঙ্গুল উচিয়ে কাকে যেন কি বলছেন। সম্ভবত ওনার সাথে যে অন্য দু্ চারটা বন্দী অাছে তাদেরকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এসেছেন অামাদের সম্মানিত অাইন শৃঙ্খলা ভক্ষক বাহিনির সদস্যরা শফিক রেহমান সাহেবকে ধরে বহন করে নিয়ে অাসার সময়। শফিক রেহমান সাহেবকে ধরে অানার উপলক্ষ্যে অানন্দ করার উৎস হিসাবে তাদেরকে ধরা হয়ে থাকতে পারে। এটা অামাদের জাতীয় সংস্কৃতিরই এক অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। যখনই কোন অাসামী বা অপরাধী বা সন্দেহ ভাজন কাউকে অাইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে থানায় নিয়ে যান তখন ওনাদের সামনে পড়া কিছু দুই ঠ্যাং ওয়ালা প্রাণী ধরে সাথে করে নিয়ে যান, অাসামী ধরার পারিশ্রমিক অাদায় করার জন্য। ওনাদের পদৌন্নতিতে এই সব প্রাণীরা অসামান্য অবদান রাখেন।
একটি কথা অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন যে, শফিক রেহমানের মত একজন মোষ্ট সিনিয়র সাংবাদিককে সরকার ধরে নিয়ে গেছে অথচ কেউই কিছু বলছে না। অারে, বলবে কি ভাবে? ওনি যে শত সাংবাদিক ভাইয়ের বেতন না দিয়ে, না খাইয়ে রেখে দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই ঘটনা কি সবাই ভুলে গেছেন?
বিঃদ্রঃ সকলের কাছেই অামার বিনীত অনুরোধ, উপরে একটি লাইন পড়ার সময় নিজ দায়িত্বে সংশোধন করে পড়বেন। ভুলঃ অাইন শৃঙ্খলা ভক্ষক বাহিনী, শুদ্ধঃ অাইন শৃঙ্খলা রক্ষক বাহিনী। অামি অাবারও বলছি, পড়ার সময় অাইন শৃঙ্খলা ভক্ষক বাহিনীর পরিবর্তে অাইন শৃঙ্খলা রক্ষক বাহিনী পড়বেন।
https://www.facebook.com/notes/abu-bakar/post-on-shafique-rehaman-on-april-20-2016/10154338547593580/
No comments:
Post a Comment